লেখালেখি করে আয় করার উপায়

এসব লেখার পাঠক থাকলেও লেখকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হন না। আর তাই লেখা প্রকাশ করে আয়ের সুযোগ দিতে যাত্রা শুরু করেছে দেশি লেখক-পাঠকদের অনলাইন মার্কেটপ্লেস ‘ফিকশন ফ্যাক্টরি’।

ওয়েবসাইটটিতে নিবন্ধন করে সহজেই যেকোনো ব্যক্তি নিজের লেখা প্রকাশ করতে পারবেন। পাঠকেরাও নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে লেখাগুলো পড়তে পারবেন। ফলে পাঠকের সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে ঘরে বসেই অর্থ আয় করতে পারেন শৌখিন ও জনপ্রিয় লেখকেরা। ফিকশন ফ্যাক্টরির প্রতিষ্ঠাতা শোয়েব সর্বনাম ও আশিক উস সালেহীন। আজ রোববার প্রথম আলোকে শোয়েব সর্বনাম জানান, ফিকশন ফ্যাক্টরি মূলত লেখক পাঠকদের স্মার্ট মার্কেটপ্লেস। 

‘সাহিত্যযাপন আনন্দের হোক’ এই ধারণা নিয়ে গত ১ মে থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে ওয়েবসাইটটি। নিজের যেকোনো নতুন বা পুরোনো লেখা প্রকাশ করা যায় ওয়েবসাইটটিতে। শুধু তা–ই নয়, যেকোনো লেখাপড়ার জন্য সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা পর্যন্ত অর্থমূল্য ধার্য করতে পারেন লেখকেরা। চাইলে বিনা মূল্যে পড়ার উপযোগী লেখাও প্রকাশ করার সুযোগ রয়েছে। ওয়েবসাইটটিতে নিবন্ধন করে যেকোনো সময় নিজেই লেখা প্রকাশ করা যায়। 

ওয়েবসাইটটির মাধ্যমে লেখা থেকে আয়ের ৬০ শতাংশ পর্যন্ত পেয়ে থাকেন লেখকেরা। আয়ের অর্থ সরাসরি লেখকদের ব্যাংক বা মুঠোফোনে আর্থিক সেবার অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়ে থাকে। ফলে সহজেই অর্থ তুলতে পারেন তাঁরা। ফিকশন ফ্যাক্টরি ওয়েবসাইটে সব লেখার মেধাস্বত্ব লেখকের কাছেই থাকে। ফলে লেখকের অনুমতি ছাড়া কেউ সেগুলো ব্যবহার করতে পারবে না। শুধু তা–ই নয়, ওয়েবসাইটটিতে প্রকাশিত লেখাগুলো অন্য কোনো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার পাশাপাশি বইও প্রকাশ করতে পারেন লেখকেরা। লেখকেরা চাইলে নিজেদের নতুন-পুরোনো সব লেখা ওয়েবসাইটটিতে ডিজিটালি সংরক্ষণ করতে পারেন। 

ওয়েবসাইটটিতে অন্যের লেখা পড়ার জন্য পাঠকদেরও নিবন্ধন করতে হয়। শুধু তা–ই নয়, মুঠোফোনে আর্থিক লেনদেন সেবার মাধ্যমে লেখার মূল্য পরিশোধের সুযোগ থাকায় সহজেই পছন্দের লেখাগুলো পড়তে পারেন পাঠকেরা। একবার কোনো লেখার মূল্য পরিশোধ করা হলে সেই লেখাটি পাঠকের ড্যাশবোর্ডে জমা থাকে। ফলে পরে যেকোনো সময় অর্থের বিনিময়ে কেনা সব লেখা পড়ার সুযোগ মিলে থাকে। এরই মধ্যে দেড় হাজারের বেশি লেখক প্রায় ১ হাজার ৭০০ লেখা প্রকাশ করেছেন ওয়েবসাইটটিতে।