-->

নাম পরিবর্তন করছে মাইক্রোসফট অফিস

পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে মাইক্রোসফট 'অফিস' সফটওয়্যারের নাম। আগামী মাস থেকেই অফিস অ্যাপগুলো পর্যায়ক্রমে 'মাইক্রোসফট ৩৬৫' নামে পরিবর্তিত হতে থাকবে। মূলত ১৯৯০ সাল থেকে ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট ও আউটলুকের মতো সফটওয়্যার অফিস ব্র্যান্ড নামে চালু হয়। চালু হওয়ার পরই উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের পাশাপাশি দারুণ জনপ্রিয়তা পায় এসব সফটওয়্যার। মাইক্রোসফট এক অফিসিয়াল পেজে জানিয়েছে, নতুন লোগোসহ অফিস অ্যাপের নাম বদলে যাবে। অফিসের পরিবর্তে 'মাইক্রোসফট ৩৬৫' নামে পরিচিত হবে সংশ্নিষ্ট অ্যাপ।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে উইন্ডোজ ১০, ১১ এবং আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে থাকা বিভিন্ন 'অফিস' অ্যাপও নতুন নামে পরিবর্তিত হবে। ওই আপডেটের পর নতুন লোগোসহ এই সব অ্যাপের নাম বদলে হয়ে যাবে ‘মাইক্রোসফট ৩৬৫’। এখনও দেখতে অনেকটা ইংরেজি অক্ষর ‘O (ও)’র মতো হলেও, এটি অফিসের লোগো থেকে কিছুটা ভিন্ন চেহারার ও হবে। এই পরিবর্তন সম্পর্কে মাইক্রোসফটের প্রশ্নোত্তর (এফএকিউ) পেইজ বলছে, বিদ্যমান বিভিন্ন মাইক্রোসফট অফিস অ্যাপের পাশাপাশি ‘ওয়ানড্রাইভ’, ‘মাইক্রোসফট টিমস’সহ বেশ কিছু ফিচার থাকবে মাইক্রোসফট ৩৬৫-তে। অন্যদিকে, কোম্পানি এটিও বলছে যে অন্তত কিছু সময়ের জন্য হলেও অফিস ব্র্যান্ডটির অস্তিত্ব থাকবে। কারণ, চলতি ‘অফিস ৩৬৫’ অ্যাকাউন্টগুলোর নাম এখনও বদলে যায়নি। অফিস অ্যাপের ঝুলিতে মাইক্রোসফট ৩৬৫ নামে 'ওয়ানড্রাইভ', 'মাইক্রোসফট টিমস'ও যুক্ত হবে। নাম বদলের তালিকায় যুক্ত হবে অন্তত আরও আটটি সফটওয়্যার। এর মধ্যে মাইক্রোসফটের অ্যান্টিভাইরাস 'মাইক্রোসফট ডিফেন্ডার' নাম বদলে হবে 'মাইক্রোসফট ৩৬৫ ডিফেন্ডার'। মাইক্রোসফট ক্লাউড সেবানির্ভর কয়েকটি অ্যাপের নামেও পরিবর্তন আসবে। তবে লাইসেন্স সংক্রান্ত জটিলতায় কিছু অ্যাপ অফিস ব্র্যান্ড নামেই থাকবে।

মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে এখনো ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট ও আউটলুকের এর ব্র্যান্ডের নাম ‘অফিস’ থেকে বদলে ‘মাইক্রোসফট ৩৬৫’ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  উইন্ডোজের পর সম্ভবত জনসাধারণের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মাইক্রোসফট পণ্য এটিই। আর উন্মোচনের ৩২ বছর পর এটি নিচ্ছে নতুন নাম।

প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট আর্স টেকনিকার প্রতিবেদন বলছে, উইন্ডোজ ও এক্সবক্স নাম দুটি যথেষ্টই পোক্ত, ফলে এদের নাম বদলে ‘মাইক্রোসফট ওএস’ বা ‘মাইক্রোসফট বক্স’ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এর পরও, অফিসের মতো অ্যাপের নাম যদি রিব্র্যান্ডিং সম্ভব হয়, তাহলে পরবর্তীতে কোন অ্যাপ এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাবে, সেটি আসলে বলার উপায় নেই।

আরও নতুন পোষ্ট পরবর্তী পোষ্ট